
অনলাইন ডেস্ক::
পায়ে পায়ে ৪০ বছরে এসে দাঁড়িয়েছে বয়স। কখন এতটা পেরিয়ে গেল তা বুঝে ওঠার আগেই শরীর জানান দিতে শুরু করেছে নানা অস্বস্তির কথা। বেশিরভাগ সময়ে সেই সব সিগনাল আপনি এড়িয়ে যান, কিন্তু সময় থাকতে যদি এখনই সচেতন হওয়া যায়, তবে ভবিষ্যতে ব্রাউনি পয়েন্ট আপনিই পাবেন। ধীরে ধীরে যে আপনার পেট স্ফীত হচ্ছে, অথবা ঘাড়ে-কোমরে ব্যাথার প্রকোপ বাড়ছে তার মোকাবিলায় এবার কিছু করতে হবে। তবে তার জন্য আপনাকে প্রতিদিন জিমে ছুটতেই হবে- এমন কোন কথা নেই। কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললেই ফিট থাকতে পারবেন আপনিও।
১. সকালে ওঠার অভ্যাস যদি আপনার না থাকে, তবে অকারণে ভোরবেলা অ্যালার্ম দিতে যাবেন না। বরং প্রতিদিন যে সময়ে ওঠেন তার থেকে দশ পনেরো মিনিট আগে উঠে ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ, স্ট্রেচিং এবং যোগাসন অভ্যাস করুন। প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করলেই দেখবেন শরীর ঝরঝরে লাগছে।
২. যদি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে চান এবং মেটাবলিক রেট বাড়াতে চান, তবে লো বা মিডিয়াম ইনটেনসিটি কার্ডিও এক্সারসাইজ করতে পারেন।
৩. সারা দিনে ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা হাঁটুন। শুরুতে ধীরে হাঁটলেও আস্তে আস্তে বাড়াতে থাকুন হাঁটার গতি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে পারলে খুবই ভালো হয়, তবে কাজের চাপে যদি সেই সময়টা বের করতে না পারেন, তবে সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার সময় খানিকটা পথ হেঁটেই ফিরুন। অফিসে চা-কফি বা জলের জন্য অন্য কাউকে না বলে, নিজেই উঠে গিয়ে নিয়ে আসুন।
৪. একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখবেন। এক্সারসাইজ শুরু করার আগে ওয়ার্ম আপ এক্সারসাইজ করে নেবেন।
৫. হাঁটতে অথবা জগিং করতে যাওয়ার সময় সঙ্গে এক বোতল জল নিন। মাঝে মধ্যে অল্প জল খাবেন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
৬. খালি পেটে এক্সারসাইজ করতে যাবেন না। এক্সারসাইজ করার ১৫ মিনিট আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। এক মুঠো আমন্ড বা একটা পেয়ারা অথবা আপেল খেতে পারেন।
৭. ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ অথবা ডিনারের ঠিক পরই ওয়ার্কআউট করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবে।
৮. এই কথাটি অনেকবার হয়তো শুনেছেন। তার একটাই কারণ ফিট এবং মেদহীন থাকার এ এক মোক্ষম উপায়। লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। একটি ছয়তলা বাড়ি যদি আপনি দিনে পাঁচবার ওঠানামা করতে পারেন, তবে তা ৩০ মিনিটের জগিংয়ের সমান।
৯। একটা কথা না বললেই নয়। এক্সারসাইজের সময়ে রুটিন মেনে চলতেই হবে। নইলে কোনো লাভ হবে না। তিন দিন এক্সারসাইজ করার পর মনে হল অনেক হয়েছে দুই দিন একটু জিরিয়ে নিই, তাহলে হবে না। ইচ্ছে না করলেও, নিয়মিত এক্সারসাইজ করতে হবে। শরীর খারাপ হলে আলাদা কথা। শুরুতে যদি ১৫ মিনিট দিয়ে শুরু করেন, তবে টার্গেট রাখুন মাসের শেষে গিয়ে আপনি টানা ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করবেন। এভাবে করলে দেখবেন, কাজে উত্সাহ পাচ্ছেন।
পাঠকের মতামত